বেনাপোল থেকে রফিকুল ইসলাম:
কথায় আছে “ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়” –বলছিলাম একজন ক্রিকেট প্রিয়’র। যে সুদূর প্রবাসে গিয়েও ক্রিকেট খেলা ভুলতে পারেনি। তার নাম আবুল কালাম আজাদ।সে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের জগদানন্দকাটি গ্রামের কৃতি সন্তান।বর্তমানে এখন যুক্তরাজ্য প্রবাসী। আবুল কালাম নিয়মিত ক্রিকেট খেলা করে সেখানে এবং খেলাধুলা সম্পর্কিত বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে রয়েছেন জড়িত।গত রবিবার সেখানকার স্থানীয় একটা বড় ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহণ করে তার দল শেষ পর্যন্ত রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। যে টিমের ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।লীগটার নাম ছিল ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ। গত রবিবার ২৯ শে আগস্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্থানীয় এম্বারটন ক্রিকেট ক্লাব মাঠে।যে ফাইনাল খেলায় আবুল কালামের নেতৃত্বে রাইজিং স্টারস ক্রিকেট ক্লাব ও ফায়ারওয়ে ক্রিকেট ক্লাব অংশগ্রহন করে।
১০০ বলের খেলায় দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কালামের দল ফাইনালে হেরে যায়। ওটাই ওর দলের একমাত্র হার এই লীগের । কালাম টসে জিতে বিপক্ষ দল এমকে ফায়ারওয়ে কে ব্যাট করতে পাঠায়। তারা নির্ধারিত ১০০ বলে ১৩৩ রান করতে সক্ষম হয় ৭ উইকেটের বিনিময়ে। জবাবে কালামের দল ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল। কোন উইকেট না হারিয়ে প্রথম ২০ বলে ৪৫ রান তুলেছিল। এরপর শুরু হয় ছন্দপতন। একের এক উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা ১০৬ রান করতে সক্ষম হয় ৯৩ বলে। অধিনায়ক কালাম অপরাজিত থাকে ৬ রান করে। খেলা অবস্থায় তার কাঁধে ব্যথা পাওয়ার কারনে ৫ বলের বেশি আর বল করতে পারিনি। এদিকে ব্যাট করতে নামে সবার শেষে।
খেলার প্রতি ভালবাসা দেখে কালামের খুবই ভালো লাগে। সে ওখানে(মিল্টন কিনস) বাংলাদেশী কমিউনিটিকে রিপ্রেজেন্ট করছে একজন ক্রিকেটার হিসাবে। এটা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার।আসলে খেলাধুলা করলে মনোবল বাড়ে এমনটাই বললেন ঝিকরগাছার কৃতি সন্তান ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী এবং এমকে স্টারস ক্লাবের অধিনায়ক আবুল কালাম আজাদ. এমন দৃষ্টান্ত ও কৃতিত্বের জন্য নিজ উপজেলা সহ দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রত্যাশী।